বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ হলেও প্রত্যেক পুজো ও পার্বণের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব এক এক জায়গায় এক এক রকম। যেমন বীরভূমের রাজনগর ব্লকের অন্তর্গত তাঁতিপাড়া মোদক সমাজের পরিচালনায় যে গণেশ জননী পূজো হয় অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহে সেখানে পুজোর দিন প্রতিটি ময়রা বা মোদক পরিবারে রন্ধন কাজে পুঠি মাছ ও বরবটি কলায় রান্নার আয়োজনে রাখতেই হয়। এই রীতি চলে আসছে আনুমানিক সাড়ে ৩০০ বছর ধরে। ময়রা দের কুলদেবী এই গণেশ জননী। জননীর কোলে থাকে সিদ্ধিদাতা গণেশ। একপাশে দেবী লক্ষ্মী অন্য পাশে দেবী সরস্বতী। মোদক সমাজ সূত্রে প্রয়াত কেদার রুজ এই গণেশ জননী পূজো সূচনা করেন। তাঁতিপাড়া, বক্রেশ্বর গোহালিয়ারা, লাউজোর ও খয়রাডিহি প্রায় শতাধিক মযরা পরিবার এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে। এক সময় এই পুজোকে কেন্দ্র করে যাত্রা নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো যা আজ অতীত। কিন্তু নিষ্ঠা ও ভক্তি এই গণেশ জননী পূজোকে কেন্দ্র করে আজও অটুট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0মন্তব্যসমূহ
3/related/default

