১২ই ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে বালুরঘাট শহরের প্রত্যুষ ও ইকো ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশনের পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব পাখি দিবস ( প্রস্তাবিত ) পালিত হল। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে অতিরিক্ত মাত্রায় পরিবেশ দূষণের ফলে পরিবেশ থেকে বহু প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, পাখিদের অস্তিত্বকে পরিবেশে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর কাছে আন্তর্জাতিক স্তরে ১২ই ডিসেম্বরকে বিশ্ব পাখি দিবস হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
২০১২ সালের ১২ই ডিসেম্বর বালুরঘাটের প্রয়াত চিকিৎসক ডা: দেবব্রত ঘোষ, প্রয়াত দন্ত চিকিৎসক ডা: রামেন্দু ঘোষ সহ শহরের একদল পাখিপ্রেমী ও পরিবেশপ্রেমীদের উদ্যোগে বিশ্ব পাখি দিবস ( প্রস্তাবিত ) পালন শুরু হয়। এদিন সকালে চকভৃগুর প্রত্যুষ ও ইকো ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশনের কার্যালয় থেকে সংস্থার সম্পাদক কৃষ্ণপদ মন্ডলের উদ্যোগে পাখিপ্রেমী ও পরিবেশপ্রেমীদের উপস্থিতিতে বিশ্ব পাখি দিবসকে সামনে রেখে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। "সকাল" সংস্থার সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক কৃষ্ণপদ মন্ডল, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব প্রদোষ মিত্র ও দুর্গা শংকর সাহা, দিশারী সংকল্পের সম্পাদক তুহিনশুভ্র মন্ডল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামল কুমার আমিন, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুশীল চন্দ্র পাল প্রমুখ ব্যক্তিরা পাখি দিবসের উপরে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
'পাখির ডাকে সকাল হলো' এই গানটি পরিবেশন করেন তুহিনশুভ্র মন্ডল। পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। পরিবেশে পাখিদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে শুধুমাত্র বছরের ১২ই ডিসেম্বর ঐ একদিনই বিশ্ব পাখি দিবস হিসেবে পালন করলে চলবে না, পাশাপাশি পাখিদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। রাস্তার দু'ধারে ফলের গাছ লাগাতে হবে এবং গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বাড়ির ছাদে ও উঠোনে পাখিদের জন্য ছোট ছোট পাত্রে জল ও দানা শস্য রাখতে হবে। সমাপ্তি ভাষণ দেন সংস্থা সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী বিদ্যুৎ কুমার রায়।

