দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটির বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহ উপলক্ষে বাণগড়ে সাংবাদিক বৈঠক ও ঐতিহ্য আড্ডা

Prathamalorbarta
By -
0

১৯ থেকে ২৫ শে নভেম্বর সমগ্র পৃথিবী জুড়ে বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে গঙ্গারামপুরের বাণগড়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও ঐতিহ্য আড্ডার আয়োজন করলো দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটি।

সাংবাদিক বৈঠকে যে ইস্যু গুলোকে তুলে ধরা হয়েছে তা হলো - প্রথমত বাণগড়ে পুনর্খননের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকার অনুমোদনের সংবাদ বছর অতিক্রম করেছে। সেই কাজের বর্তমান পরিস্থিতি হোক। দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটি তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছে। এবং বাণগড়ে আলো ও শব্দের প্রদর্শনীর (লাইট অ্যাণ্ড সাউণ্ড শো)ব্যবস্থা করা।( এই দাবী ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ পরিষদের কাছে)। দ্বিতীয়ত ২০১৩ সালের ৩রা মে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের ওয়েবসাইটে হেরিটেজ স্থান এর তালিকায় খাঁপুরের চারচালা ( সিংহবাহিনী) মন্দিরের নোটিফিকেশন হয়েছিল। কিন্তু ডেসক্রিপশন বা ব্যাখ্যার জায়গায় কিছু লেখা নেই। কেন এতদিনেও তা হলো না? এর বর্তমান পরিস্থিতি কি?দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটি তা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে খাঁপুর চারচালা (সিংহবাহিনী মন্দির) মন্দিরের হেরিটেজ মর্যাদা দাবী করছে দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটি।( এই দাবী ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হেরিটেজ কমিশনের কাছে)। তৃতীয়ত ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের ওয়েবসাইটে স্টেট প্রোটেকটেড মনুমেন্টের তালিকায় নাম আছে কুশমন্ডির একডালা দুর্গের নাম আছে। কিন্তু বর্তমানে তা ধ্বংসপ্রাপ্ত। তাই দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটির দাবি হয় তাকে পুনর্খননের উদ্যোগ নেওয়া হোক অথবা তার জায়গায় ভগ্নপ্রায় পীরপালের ( মতান্তরে বখতিয়ার খলজির সমাধি) সমাধিকে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে সংরক্ষণ করা হোক। ( এই দাবি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হেরিটেজ কমিশনের কাছে )

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো হয় যে - প্রতি ব্লক অথবা থানা অনুযায়ী ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্থানের তালিকা করা হোক। তাকে নিয়মিত পরিষ্কার করা হোক। এবং সেগুলো যে যে এলাকায় অবস্থিত সেখানকার এলাকাবাসী দের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন করবার উদ্যোগ নেওয়া হোক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)