বাংলার কুটির শিল্পকে এখনো ধরে রেখেছে মুর্শিদাবাদ জেলার শিল্পীরা,ছট পুজোর আগে নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছে বাঁশ শিল্পীরা !
By -Prathamalorbarta
অক্টোবর ২৭, ২০২৫
0
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা থেকে গোটা দেশ তথা রাজ্য আজ উৎসব মুখি। একের পর এক উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন গ্রাম ও শহরতলীর মানুষ।
বাঙালিদের পাশাপাশি হিন্দী ভাষার মানুষেরা একটা বছর অপেক্ষায় থাকে তাদের সব চেয়ে বড় উৎসব ছট পুজোর জন্য। আর মাত্র একটা দিন তার পর গোটা বাংলা জুড়ে মেতে উঠবে ছট পুজোর আনন্দে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রান্তে চলছে ছট পুজোর প্রস্তুতি। এই ছট পুজোর যে সামগ্রী গুলো সবার প্রথম প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম কুলো , ঝুঁড়ি সহ অন্যান্য সামগ্রী যা তৈরি হয় মুলত বাঁশ দিয়ে।যে কোন উৎসবে বাঁশের তৈরি কুলো আজোও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ছট পুজোয় শুধু কুলো নয় তার সাথে ঝুড়ি সহ অন্যান্য বাঁশের সামগ্রী প্রয়োজন হয়। সেই সব সরঞ্জামের জোগান দিতে চরম ব্যাস্ততা দেখা গেল বাঁশ শিল্পীদের। হাতে সময় একদম নেই তাই এই মুহূর্তে চরম ব্যাস্ততা দেখা গেল খুদ্র কুটির শিল্পীদের ।কারন এই বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সরঞ্জাম। এই শিল্পীরা সারা বছর এর উপর নির্ভরশীল। তবে প্রযুক্তির যুগে ফাইবার ও প্লাস্টিকের অনেক সরঞ্জাম বাজার দখল নিয়েছে কিছুটা তাদের ভাটা পড়েছে কিন্তু তা সত্বেও সারা বছর এই সরঞ্জাম বিক্রি হয়।মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে কল্যানী শিল্প নগরীতে ছুটে এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। জানা যায় দির্ঘ বেশ কয়েকটি বছর ধরে ছট পুজো উপলক্ষে কল্যাণী শহরে আসেন এবং কল্যানী শহর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছট পুজো হয়। সেই পুজোর সরঞ্জাম তৈরি করেন। তবে এই মানুষগুলো বাংলার কুটির শিল্পকে এখনো ধরে রেখেছে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাবে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এবং সবরকমের সহযোগিতা করছে তাদের। বিভিন্ন সরকারি মেলা গুলোতে তাদের স্টলের ব্যবস্থা করে থাকে।।
অন্যদিকে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সব শিল্প ও শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও শোনা গেল তৃণমূল হকার্স ইউনিয়ন কল্যাণী শাখার সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাসের মুখে।তবে বিতর্ক ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে এটা ঠিক যে বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি ও খুদ্র শিল্পকে এখনো ধরে রেখেছে এই মানুষগুলো।