এবছর বালুরঘাটের সাড়ে তিন নম্বর মোড় ক্লাবের হীরকজয়ন্তী বর্ষের কালীপুজোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে

Prathamalorbarta
By -
0

 আত্রেয়ী নদীর তীরবর্তী বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী সাড়ে তিন নম্বর মোড় ক্লাবের এবছর হীরকজয়ন্তী বর্ষ। সার্ব্বজনীন শ্যামা মায়ের উৎসব সর্বধর্মের ও সর্ববর্ণের মানুষের মেলবন্ধনে অনুষ্ঠিত হোক এবং শ্যামা মা সকলের মঙ্গল করুক এই ভাবনায় এই ক্লাবের কালীপুজোর থিম - "মায়ের পায়ে রাঙা জবা"। 



গতবছরের থিম ছিল - "মহুয়ায় জমেছে আজ মৌ গো"। পুজোতে প্রতিমা, মন্ডপ সজ্জা ও আলোক সজ্জার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার মেলবন্ধন করাই এই ক্লাবের লক্ষ্য। শহরের চক্রবর্তী ডেকোরেটার্সের স্বনামধন্য মন্ডপশিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্তী (খোকন) মন্ডপ সাজানোর বিভিন্ন অত্যাধুনিক সামগ্রী দিয়ে তৈরী পুজো মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বনামধন্য মৃৎশিল্পী উত্তম পালের প্রতিমা ফুটে উঠবে। পাশাপাশি মন্দিরের প্রতিমা তৈরী করছেন রমেন পাল (বাবু)। 

এবারের আলোকসজ্জায় বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকছে চন্দননগরের সাহা ইলেকট্রিকালের স্বনামধন্য আলোকশিল্পী মনোজ সাহার আলোকসজ্জা। শব্দ পরিবেশনে থাকছে আশা মিউজিক বালুরঘাট, প্রতিবছরই সাড়ে তিন নম্বর মোড় ক্লাবের কালীপুজোতে কিছু না কিছু নতুনত্বের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়, সেই কারণে পুজোর দিনগুলোতে এখানকার পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে।

 প্রায় সাত লক্ষ টাকা এবারের পুজোর বাজেট। এই ক্লাব কালীপুজো উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ, খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে নর নারায়ন সেবার পাশাপাশি ভ্রাতৃদ্বিতীয়াতে সন্ধ্যায় ক্লাব প্রাঙ্গণে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীর সমন্বয়ে এক বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এছাড়াও এই  ক্লাব সারাবছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে। কালীপুজোর আগের দিন সন্ধ্যায় জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পুজোর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণীজনদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হবে। এমনটাই জানালেন পুজো কমিটির সদস্য অনুপম সেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)