ভারতে উধাও ৭ শতাংশ চাকরি! বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্ট ঘিরে আতঙ্ক!

Prathamalorbarta
By -
0

এবার অফিসে থাকবেনা কোন মানুষ, বাড়বে মেশিন? এ.আই যুগে নতুন কর্ম সংকট দেখা দেবে তরুণ সমাজে!
ভাবুন তো, সকালে আপনি অফিসে পৌঁছলেন এবং সেখানে দেখলেন আপনারই ডেস্কে বসে আছে একজন ডিজিটাল সহকর্মী । আপনার পরিবর্তে অফিসের হয়ে সে ইমেইল লিখছে, ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলছে, এমনকি অফিসের প্রেজেন্টেশনও বানাচ্ছে ! এই দৃশ্য কিন্তু কোনো সাইন্স ফিকশন মুভির নয় ! বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ায় ৭% চাকরি কেড়ে নেবে এ.আই ! বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। 

প্রকাশিত রিপোর্টের নাম - "সাউথ এশিয়া ডেভলপমেন্ট আপডেট, জবস এ.আই‌  এন্ড ট্রেড "। ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে , তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে "মাঝারি শিক্ষিত" কম বয়সী কর্মীদেরই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। এই রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে, উন্নয়নশীল অর্থনীতি প্রায় ১৫ শতাংশ চাকরি হারিয়ে যেতে পারে এই প্রযুক্তির কারণে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখন কেবল একটি যন্ত্র নয়, এটি এক নতুন মস্তিষ্ক। আগে যেমন একটি তথ্য গুগলে খুঁজে মানুষ নিজেই সিদ্ধান্ত নিতো, আর এখন এই প্রযুক্তির কারণে এ.আই সেই সমস্ত তথ্য খুঁজে তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রেজেন্টেশন তৈরি করে ফেলছে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই। আশঙ্কা করা হয়েছে , এর কারণে 'হোয়াইট কলার জব'-এ সবচেয়ে বড়ো ধাক্কা লাগবে। 


রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কর্মীরাই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। তার সবচেয়ে বড়ো কারণ হলো তাঁদের কাজ কোনো যন্ত্র দ্বারা করা কঠিন, বরং তাঁরা উচ্চ-দক্ষতা সম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে তরুণরাই। 

কিছু বিশেষজ্ঞ, বর্তমানে আশার আলো দেখালেও, তাঁদের মতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের চাকরি খেয়ে নেবে ঠিকই, কিন্তু তার সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানের দরজাও খুলে দেবে। এর আগেও দেখা গিয়েছে।  ইতিহাস সাক্ষী, প্রযুক্তি সব সময় কিছু বন্ধ করলেও আবার নতুন কিছু তৈরিও করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)