জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্ত সমন্বয়ে মহাসমরে পালিত হচ্ছে গীতা জন্ম জয়ন্তী উৎসব। নদীয়ার মায়াপুর ইসকনে সারা বছরই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত হয় হাজার হাজার পূর্ণ্যার্থী। একইভাবে বিদেশি ভক্তদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান। ঠিক তেমনি ৭ দিনব্যাপী মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় গীতা জন্ম জয়ন্তী উৎসব।
এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে মূল লক্ষ্য ভক্তদের গীতাপাটের মধ্যে দিয়ে জ্ঞান অর্জন করানো, কারণ গীতাতেই রয়েছে জ্ঞান। মানুষের জীবনের একটা সময় অতি ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেলেও মানুষ তার অস্তিত্ব এবং সংস্কৃতি ভুলে যায়, কিন্তু গীতা পাঠ মানুষের মধ্যে এক অন্যতম স্থান অর্জন করে নেয়, যার মধ্যে রয়েছে জ্ঞানচক্ষুর অন্যতম নিদর্শন। নদীয়ার মায়াপুর ইসকনের চন্দোদয় মন্দিরে এই উৎসবে শামিল হয় দেশী-বিদেশী হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ। একদিকে যেমন চলতে থাকে গীতা পাঠ অন্যদিকে করা হয় শান্তিযোগ্য, জগতের মঙ্গল কামনার জন্যই প্রত্যেক বছর এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে মায়াপুর ইসকন কর্তৃপক্ষ। তবে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ইসকন। আগত ভক্তবৃন্দদের জন্য রয়েছে সুব্যবস্থা। আলোক শয্যায় সজ্জিত করা হয়, গোটা মায়াপুর ইসকনকে। ভক্তদের সমৃদ্ধি শান্তি এবং জগতের মঙ্গল কামনায় মহা সমারহে অনুষ্ঠিত হয় এই গীতা জন্মজয়ন্তী উৎসব। এ প্রসঙ্গে মায়াপুর ইসকন জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাসের কথায়, গীতা প্রত্যেকের হৃদয়ে উদ্ভাসিত করার জন্য তাদের এই অনুষ্ঠান। গীতা মহাভারতের কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের এক অন্যতম বানী, আর সেই ঐতিহ্য মেনে পালিত করা হচ্ছে এই গীতার জন্মজয়ন্তী উৎসব।

