মসজিদের মৌলবির পবিত্র আযান দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় শ্যামা মায়ের পূজা অর্চনা

Prathamalorbarta
By -
0

পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিংড়ায় মুসলিম মৌলবির আযানের এবং তার দেওয়া হরিলুটের মধ্যে দিয়ে শ্যামা কালী পূজার সূচনা হয়। সম্প্রীতির এক অনন্য নজির গড়ে উঠে নিংড়ায় কালী পুজোকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের তরফে জানা যায় প্রায় আড়াইশো বছরের বেশি পুরনো এই শ্যামা কালিপুজো।এই পুজো ওলা দেবী নামেও পরিচিত। কথিত আছে বহু যুগ আগে এই অঞ্চলে কলেরার প্রকোপ দেখা দেয়। যা এক সময় মহামারীর আকার ধারণ করে।

কলেরায় বহু মানুষ মারা যাচ্ছিলেন। সেই সময় এই এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার  মানুষজন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক হয়ে  কলেরার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই পুজোর আয়োজন করেন। এই বিপদ থেকে বাঁচতে মা ওলা দেবীর শরণাপন্ন হন। সেই থেকে আজ অবধি এই পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে এই পুজোর আয়োজন করেছিলেন। লোক কথা অনুযায়ী মুসলিম সম্প্রদায়ের আযান দেওয়ার পরেই এই পুজোর শুরু করা হয়।

 প্রাচীন এই প্রথা মেনেই আজও মুসলিম মৌলবির আযানের পরেই মায়ের পুজো শুরু হয়। বহু যুগ থেকে চলে আসা এমনই এক নজির বিহীন সম্প্রীতির চিত্র ধরা পরল আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরায়।  পুজোপ্রাঙ্গনে মুসলিম মৌলবী প্রথমে আযান দেন এবং পরবর্তী সময় হরিলুটের বাতাসা ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে পূজোর শুভারাম্ভ হয়।শুধু এখানেই শেষ নয়  পুজোর আগে বিগত দিনগুলিতে মুসলিম বাড়ি থেকে চাল ভিক্ষা করে আনেন পুজো উদ্যোক্তারা। সেই চাল বিক্রি করে কেনা হয় পুজোর হরিলুটে দেওয়ার জন্য বাতাসা, গুড় পাটালি সহ অন্য উপকরণ। আর তাই ভক্তদের মধ্যে প্রথমে সেই বাতাসাই বিলান মুসলিম মৌলবী। এ প্রসঙ্গে মন্দিরের পূজারী তিনি বলেন, বহুবছর ধরে এই রীতি চলে আসছে। সেই এখনো সেই রীতি ধরেই পুজো করা হয়। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন একসময় এলাকার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিল ।তার থেকে বাঁচতেই হিন্দু-মুসলিম একত্রিত হয়ে এই পুজোর আরম্ভ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)