ঘাড় মটকানোর অভ্যাসে বিপদ! স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

Prathamalorbarta
By -
0

ঘাড় শক্ত বা ক্লান্ত লাগলে অনেকেই অভ্যাসবশত “মটক” শব্দ করে ঘাড় ঘোরান। এতে অল্পক্ষণের জন্য আরাম মিললেও চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত বা জোরে ঘাড় মটকানো থেকে স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘাড়ের হাড়ের সংযোগস্থল বা সিনোভিয়াল জয়েন্টে থাকা তরলে গ্যাস-বুদবুদ তৈরি হয়। যখন কেউ হঠাৎ করে ঘাড় ঘোরান বা টানেন, তখন সেই বুদবুদ ফেটে যাওয়ার ফলে ‘মটক’ শব্দ শোনা যায়। এতে অল্প সময়ের জন্য চাপমুক্তি মিললেও ঘাড়ের হাড়, পেশি ও স্নায়ুতে চাপ পড়ে।
নিয়মিত ও জোরে ঘাড় মটকালে ঘাড়ের ধমনীতে ক্ষত তৈরি হতে পারে। এই ক্ষত থেকেই “সারভাইক্যাল আর্টারি ডিসেকশন” নামের সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়ে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এমন ঘটনা বিরল, তবুও ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন।

এ ছাড়া অতিরিক্ত ঘাড় মটকানোয়—
* ঘাড়ে টান ধরা বা ব্যথা হতে পারে,
* জয়েন্টের লিগামেন্ট আলগা হয়ে যেতে পারে,
* মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা দেওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।


চিকিৎসকরা বলছেন, মাঝেমধ্যে হালকা ঘাড় ঘোরানো বা টান দেওয়া ক্ষতিকর নয়। কিন্তু জোরে বা ঘন ঘন করলে বিপদ হতে পারে। নিয়মিত ঘাড় শক্ত লাগলে বা ব্যথা থাকলে নিজে থেকে ঘাড় মটকানো না করে বরং ফিজিওথেরাপিস্ট বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।যদি ঘাড় মটকানোর পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্পষ্ট দৃষ্টি, বা হাত-পা ঝিমঝিম করা শুরু হয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)