সাত দিন ব্যাপী দুবরাজপুরের লক্ষ্মী নারায়ণপুরে শ্রীমদ ভাগবত কথা মহোৎসবের আয়োজন

Prathamalorbarta
By -
0

সাত দিন ব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কর্মসূচীর আয়োজন৷ বৃন্দাবন থেকে আগত শ্রী গোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রীজীর মহৎ সংকল্প অনুযায়ী  বীরভূম জেলার  দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মী নারায়ণপুরে ৭ দিন ব্যাপী  শ্রীমদ ভাগবত কথা মহোৎসব আয়োজিত হচ্ছে৷ সাথে প্রতিদিনই ভাগবত পাঠ  শেষে নরনারায়ণ সেবার আয়োজনও করা হচ্ছে৷ এমনটাই জানান আয়োজক ও ভক্তদের একাংশ৷ মঙ্গলঘট ও কলস যাত্রার মাধ্যমে মহোৎসবের শুভ সূচনা করা হয়।

প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত শ্রী গোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রীজীর কন্ঠে চলছে এই  ভাগবত পাঠ। ভাগবত কথা শ্রবণ করার জন্য অজস্র ভক্ত শিষ্য হাজির হচ্ছেন৷ উল্লেখ্য, বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের  লক্ষ্মী নারায়ণপুরে ইতিমধ্যে  গড়ে উঠেছে আনন্দ বৃন্দাবন বৃদ্ধাশ্রম৷ এছাড়াও সেখানে  শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির নির্মাণ করা হবে৷ ২০২৩ এর  ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর সেখানে  ভূমি পূজন ও ভাগবত পাঠের আয়োজনও ছিল৷ এবার  বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণকে কেন্দ্র করে   সাত দিনব্যাপী ভাগবত কথা মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে,  লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের একজন ভক্ত দিলীপ গরাঁই ও তাঁর পরিবার এই সংস্থাকে প্রায় ২২ বিঘা জমি দান করেছেন স্বেচ্ছায়। তাঁর দান করা সেই জমিতে শ্রীগোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রীজী এবং তাঁর ট্রাস্ট এখানে গড়ে তুলেছেন একটি বৃদ্ধাশ্রম। খুব শীঘ্রই নির্মাণ করা হবে শ্রীরাধা গোবিন্দ মন্দির। একথা তিনি  নিজে অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে  ঘোষণা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ভক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃন্দাবনধাম  নিবাসী শ্রীগোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রীজীর দীর্ঘদিনের মহৎ সংকল্প ছিল পশ্চিমবঙ্গে  বৃদ্ধাশ্রম ও বৃহৎ মন্দির নির্মাণ করা৷ কয়েক বছর পূর্বে  রাজনগরে ভাগবত পাঠ অনুষ্ঠানে তা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই সময় স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন লক্ষ্মী নারায়ণপুর এর বাসিন্দা দিলীপ গড়াই ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জমি দান করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা৷ বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে৷ স্থানীয় এবং নিকটবর্তী বিভিন্ন এলাকার মহারাজজীর ভক্ত অনুরাগীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে যথেষ্ট৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)