গতকাল বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ন’টা নাগাদ শুরু হয় খরুণ গ্রামের প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা। ঢাকঢোলের তালে তালে এগিয়ে যায় শোভাযাত্রা। প্রায় রাত এগারোটা নাগাদ ডিঘির ঘাটে গিয়ে সম্পন্ন হয় বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত খরুণ গ্রামে ছ’টি দুর্গাপূজা হওয়ার কথা থাকলেও আড়াইশো বছরের পুরোনো বাঙাল বাড়ির পূজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচটিতে।
এই দুই বাড়ির প্রতিমা ডিঘির ঘাটে গিয়ে ঢাকঢোলের মধ্য দিয়ে নিরঞ্জন সম্পন্ন হয়।তবে রীতি অনুযায়ী রায় বাড়ি ও কর্মকার বাড়ির প্রতিমা এবারও বাড়িতেই রয়ে গেছে। এই দুই প্রতিমার নিরঞ্জন মহালয়ার বিকেলে করা হবে আগামী বছর। গ্রামবাসীদের মতে, এই ঐতিহ্য প্রায় তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। বাড়ির মেয়ের মতোই প্রতিমাকে সারাবছর ঘরে রেখে দেওয়া হয় এবং নতুন প্রতিমার আগমনের আগে মহালয়ার দিনে বিদায় জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাঙাল বাড়ির প্রতিমা এ বছর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা খেদ রয়ে গেলেও, চট্টোপাধ্যায় ও শ্যাখারী বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের সময় আনন্দ-উল্লাসে ভরপুর ছিল গোটা গ্রাম। ছোট থেকে বড় সকলে ঢাকের তালে মেতে উঠেছেন প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়।
খরুণ গ্রামের এই বিশেষ রীতি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আগামী বছর মহালয়ার দিনে রায় ও কর্মকার বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পন্ন হলে আবারও সেই ঐতিহ্য নতুন করে সাক্ষী থাকবে সবার কাছে

