নদীয়া:শরতের এই মনোরম পরিবেশে আপনাদের সবাইকে জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা। প্রতি বছর এই সময়ে আমরা দুর্গা পূজার আনন্দ উৎসবে মেতে উঠি। চারিদিকে নতুন জামা-কাপড়, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমার ঝলক আর নানা ধরনের খাবারের সুগন্ধে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। এই আনন্দ উপভোগ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন অনেক শিশু আছে, যাদের কাছে এই আনন্দ অধরা। একটা নতুন জামা বা একবেলা পেট ভরে খাওয়ার ইচ্ছেও তাদের কাছে স্বপ্ন হয়ে থাকে।
আমরা সবাই জানি, দুর্গা পূজা হলো মা দুর্গার আগমনকে কেন্দ্র করে এক মিলন উৎসব। এই উৎসবে আমরা যেমন মায়ের পূজা করি, তেমনই এর মূল বার্তা হলো মানবতা এবং ভালোবাসার জয়। তাই এই শুভ মুহূর্তে আমাদের সবার উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো। বিশেষ করে, আমাদের সমাজের যে শিশুরা অভাব ও দারিদ্র্যের শিকার, তাদের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।আজ এই অনুষ্ঠানে কল্যাণী " রূপকথা দিন " সংস্থাটি সেই কাজটিই করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিটি শিশুর হাতে নতুন জামা-কাপড় এবং খাবার তুলে দিতে পেরে আমরা সকলেই আনন্দিত। এই সামান্য উপহার হয়তো তাদের জীবনের সব দুঃখ দূর করতে পারবে না, কিন্তু আশা করি, এই নতুন জামা আর পূজোর খাবার তাদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে পারবে। তাদের চোখে এই খুশির ঝলক দেখা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এছাড়াও এই শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের উদ্যোগ কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি বার্তা। এই বার্তা হলো, আমরা সবাই এক এবং আমরা সবাই একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ। আসুন, আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি যাতে আমাদের সমাজে কোনো শিশু যেন বঞ্চিত না থাকে। তাদের শিক্ষার অধিকার, ভালো থাকার অধিকার এবং স্বপ্ন দেখার অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
পরিশেষে, যারা এই মহৎ উদ্যোগে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেই সকল দাতা, স্বেচ্ছাসেবক এবং সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সকলের সহযোগিতা ছাড়া এই অনুষ্ঠান সফল করা সম্ভব হতো না।
সবাইকে আবারও শারদীয় শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং উৎসবের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।

