ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের থানা এলাকা থেকে উদ্ধার ভারতীয় জাল নোট, গ্রেপ্তার এক

Prathamalorbarta
By -
0

ভারতীয় জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করল পুলিশ প্রশাসনের। কিভাবে এই জাল নোট বিস্তার হলো, এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে কতটা এই নিয়ে তদন্তের গতিবিধির জন্য বিশেষ টিম তৈরি করে পুলিশ প্রশাসন। ভারতীয় হয় ৫০০ টাকার ভারতীয় জাল  নোট,ইতিমধ্যে পুলিশের জালে গ্রেফতার অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। নদীয়ার ভীমপুর থানা এলাকার ঘটনা। 

সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন ধরেই ভীমপুর থানার বাজার এলাকা গুলিতে ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় জাল নোট, পুলিশ অতি তৎপরতার সাথে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে একের পর এক জাল নোট। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই ক্রমশ বাড়ছে এই চক্রের জাল। ভীমপুর থানার পুলিশ ঝোড়পাড়ায় চালাই অভিযান, এরপর দেবব্রত বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন ভাবে আটক করে, তার কাছে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় তিনটি ভারতীয় ৫০০ টাকার জাল নোট। বেআইনিভাবে এই কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। রবিবার নির্দিষ্ট ধারায় ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ভীমপুর থানার পুলিশ, পাঠানো হয়  আদালতে। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সম্প্রীতি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা ও ভীমপুর থানার অন্তর্গত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় দিন উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকার সোনার বিস্কুট। এবার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভীমপুর থানা এলাকা থেকেই ভারতীয় জালনোট উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো কপালের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের। তবে কি এই জাল নোট কারবারিদের জাল বিস্তার ক্রমশই বাড়ছে, নাকি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খোলা বাজারে। উল্লেখ্য গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে নোটবন্দির ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যেখানে সম্পূর্ণভাবে এক হাজার টাকার নোট দেশজুড়ে স্থগিত করা হয়েছিল, এরপরে ৫০০ টাকার নোট বাজারে নিয়ে আসা হয়, তারপর থেকেই মুদ্রার প্রযুক্তিতে করা নজর ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। অসাধু কারবারিদের একপ্রকার নজরবন্দিতে রাখা হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনের তরফে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে খোলা বাজারে কিভাবে আবারো ফিরে আসলো জাল নোট। আগামী দিনে পুলিশ প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা ভূমিকা না থাকলে তাহলে এই জাল নোটের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই এখন আতঙ্কে ভুগছে, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এখন দেখার এই জাল নোটের ঘটনায় আগামী দিনে কি পদক্ষেপ নিতে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)