মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ৬২ সি রেলগেটের পরিবর্তে আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল প্রশাসন। সেই মতো আন্ডারপাস নির্মাণের কাজও শুরু করেছিল। কিন্তু রেলগেটের মূল সড়ক থেকে অনেক দূরে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শুরু করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এই খবর জানতে পেরেই সমস্যার সমাধান সূত্র বের করতে রবিবার সাত সকালে যদুপুর এলাকায় ছুটে গেলেন বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস সহ অন্যান্যরা।
তাদের নিয়েই সাংসদ খগেন মুর্মু প্রথমে যদুপুর হাইস্কুল সংলগ্ন যদুপুর ৬২সি রেলগেট সহ রেলের আন্ডারপাস নির্মাণের প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন গ্রামবাসী সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। ওই সময় গ্রামবাসীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন সাংসদ খগেন মুর্মুর কাছে। গ্রামবাসী সহ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সেনাউল ইসলাম জানান, যদুপুর হাইস্কুল সংলগ্ন রাস্তার উপর যদুপুর ৬২সি রেলগেট রয়েছে। এই রেলগেট পেরিয়ে আশপাশের সাতটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
কিন্তু সম্প্রতি রেল প্রশাসন রেলগেট বন্ধ করে আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৬ তারিখে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজও শুরু করে। কিন্তু কাজ করা হচ্ছিল রেলগেট থেকে প্রায় চারশো মিটার দূরে নির্জন মাঠের মধ্যে। ওই এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণ হলে রাত-বিরেতে ছাত্রছাত্রী সহ মহিলাদের যাতায়াত করা দুষ্কর হয়ে পড়বে। অনেকটাই ঘুরপথে যাতায়াত করতে হবে।তাই তারা রেলগেটের কাছেই রেলের আন্ডারপাস নির্মাণের দাবীতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা চান রেলগেটের আশপাশেই রেলের আন্ডারপাস তৈরি করা হোক। গ্রামবাসীদের কাছে সমস্ত ঘটনা শুনে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, গ্রামবাসীরা ন্যায্য দাবী করছেন। তাই এই দাবী নিয়ে তিনি রেল' প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেনা দ্রুত সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।

