অন্ধকার দূর করে আলোর অভিসরী যে উৎসব তাই দীপাবলি উৎসব

Prathamalorbarta
By -
0

প্রদীপের সমাহারকেই বলা হয় 'দীপাবলি'। দীপাবলি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন উৎসব। মহাভারতের যুগেও এই উৎসব ছিল। তারও পূর্বে রামায়ণের কাল থেকে জানা যায়, শ্রীরামচন্দ্র চোদ্দ বছর বনবাসের পরে দেশে ফেরার সময়ে রাজ্যবাসী প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসব পালন করেছিলেন। যদিও ঐ প্রদীপ জ্বালানোর সূচনা হয়েছিল অযোধ্যায় শ্রীরামচন্দ্রের জন্মদিন উপলক্ষে। 



আবার রাম-রাবণের যুদ্ধে রামের জয়ের সংবাদে অযোধ্যায় দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়েছিল। আজও তাই উত্তর ভারতের মানুষ দীপাবলির উৎসব পালন করে থাকে।প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যে থাকে নানা রকম অন্ধকার। সেই অন্ধকার সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণে ।যেমন লোভ,লালসা, মোহ, মায়া, মমতা, মাৎসর্য, এবং কামের মাধ্যমে হতে পারে। তেমনি অর্থ, ধন, প্রভাব-প্রতিপত্তি খ্যাতি এই সকল কিছুর ফলে আমাদের হৃদয়ে জন্ম নেয় নেয় অহংকার যা একপ্রকার নেগেটিভ এনার্জি ।
এই অহংকারের অন্ধকার আমাদের চারিত্রিক উন্নতিতে অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।আর তাই দিপাবলী উৎসবে গৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির মধ্যে অন্ধকার দূর করার পাশাপাশি মনের গভীরে সকল অন্ধকার দূর করার চেষ্টা করা হয় ।যাতে আমরা আমাদের পথে এগিয়ে যেতে পারি কোনরূপ অহংকার বা অন্য কিছু চারিত্রিক অধঃপতন ছাড়াই । এছাড়াও নিরক্ষরতা অন্ধকারকে দূর করতেও জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে উৎসাহিত করা হয় দীপাবলি উৎসবের মাধ্যমে। এই প্রসঙ্গেই স্মরণীয় রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত গান - 
      ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো 
     দীপালিকায় জ্বালাও আলো 
    জ্বালাও আলো, আপন আলো 
    সাজাও আলো ধরিত্রীরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)