সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে পরকীয়া নামক ভাইরাস

Prathamalorbarta
By -
0

পরক্রিয়া করে পরকীয়া প্রেমিকাকে স্ত্রীর অধিকার, আর সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা  প্রথম স্ত্রীকে মেরে বাবার বাড়িতে  পাঠিয়ে দিল যুবক, সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে পরকীয়া নামক ভাইরাস 


সংবাদে প্রকাশ কৈলাসহরের শ্রীনাথপুর এলাকায় এক গৃহবধূর উপর ধারাবাহিক নির্যাতন, পরকীয়া এবং দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভগবান নগর পঞ্চায়েত এলাকার তকদির আলীর মেয়ে সুমিনা বেগমের বিয়ে হয়েছিল কারকানা পাড়ার ফয়েজ আহমেদ আবুলের সাথে সামাজিক রীতি মেনে। প্রথম কয়েক মাস স্বাভাবিক থাকলেও, সুমিনা যখন অন্তঃসত্ত্বা হন, তখন থেকেই তাঁর উপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেড়ে যায়— এমন অভিযোগ তুলেছে পিতৃপক্ষ।


পরিবারের দাবি, গর্ভাবস্থায়ও তাঁকে মারধর করা হয়, এমনকি একবার রক্তাক্ত অবস্থায় টুকটুকে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নুরপুর এলাকায় রাস্তার উপরেই আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর থেকে বহুবার সালিশি বৈঠক হলেও স্বামী আর ঘরে তুলতে প্রস্তুত হননি বলে দাবি। পরবর্তীতে ইরানি থানায় লিখিত অভিযোগ, এরপর কৈলাসহর SDPO এবং পরবর্তীতে ঊনকোটি এসপির কাছেও অভিযোগ করা হয়, কিন্তু অভিযোগকারীদের দাবি — দেড় বছরেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি।এদিকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নির্যাতনের পর কন্যাসন্তানের জন্ম হলেও, সন্তানের খোঁজ-খবর নেয়নি স্বামী পক্ষ — এমন অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগকারী পরিবার জানিয়েছে, “যদি ছেলে সন্তান হত তা হলে পরিচয় দিত, কিন্তু মেয়ে হওয়ায় স্বীকৃতি দেবে না”— এমন কথাও নাকি বলা হয়েছে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে। পরে সুমিনা জানতে পারেন, তাঁর স্বামী অন্যত্র আরেকটি বিয়ে করেছেন এবং তাঁর বিয়ের সময় দেওয়া মালামালও বিক্রি করা হয়েছে দ্বিতীয় বিয়ের উদ্দেশ্যে — এমন অভিযোগ তুলে পরিবার।


এই মানসিক আঘাতে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েছেন সুমিনা; বর্তমানে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন পিতা। দশ মাসের শিশু সন্তানসহ তাঁকে নিয়ে অসহায় পরিস্থিতিতে রয়েছেন তকদির আলী। তাঁর আবেদন, “ন্যায়বিচার ছাড়া আর কিছু চাই না। আইন যদি দেড় বছরেও আমাদের কথা না শোনে, তবে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?”এই ঘটনায় এখনো পুলিশের কোনো সরকারি বক্তব্য বা অভিযুক্ত পক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)